গোয়া: ডার্বির আগের ম্যাচে এটিকে মোহনবাগান লড়াকু জয় পাওয়ার পরে এ বার দেশের ফুটবল মহলের নজর লিগের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ম্যাচে। তবে এটিকে মোহনবাগানের কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস ডার্বি নিয়ে বিশেষ কিছু ভাবতে নারাজ। এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ম্যাচকে তিনি আর পাঁচটা ম্যাচের মতোই মনে করছেন।রবিবার ফতোরদা স্টেডিয়ামে জামশেদপুর এফসি-কে ১-০ গোলে হারানোর পরে ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে ডার্বি প্রসঙ্গ উঠলে হাবাস বলেন, “আমাদের মাথা ঠাণ্ডা রেখে ডার্বিতে খেলতে হবে। লিগ টেবলে ওদের চেয়ে আমরা অনেক এগিয়ে। আমরা ভাল খেলছিও। তা ছাড়া এখানে সমর্থক থাকবে না, কোনও চাপও থাকবে না। তাই অন্য সব ম্যাচের মতোই খোলা মনে মাঠে খেলতে পারবে ছেলেরা। ভাল ফুটবল খেলতে চাই আমরা”।রবিবার জামশেদপুর এফসি-কে হারিয়ে ফের লিগ টেবলের শীর্ষে উঠে পড়ল হাবাসের দল।

৮৫ মিনিটের মাথায় ফিজিয়ান গোলমেশিন রয় কৃষ্ণার দর্শনীয় গোলে তাঁর দল তিন পয়েন্ট অর্জন করে নিল সমানে সমানে লড়াইয়ের পর।রবিবারের এই শেষ দিকের গোলে জয় প্রসঙ্গে হাবাস বলেন, “প্রথম ৪৫ মিনিটে আমরা তেমন ভাল খেলতে পারিনি। আরও আক্রমণাত্মক হওয়া উচিত ছিল আমাদের। কিন্তু বল এত আকাশে ঘোরাফেরা করছিল, ওরা এত লং বল খেলছিল যে, সেই সুযোগ পাইনি আমরা। এই ধরনের দলের বিরুদ্ধে খেলাটা খুবই কঠিন। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা বেশি পজেশন রাখার চেষ্টা করি। ফলে গোল করার চেষ্টা আরও বেশি করতে পেরেছি”।এই জয়ের ফলে মুম্বই সিটি এফসি-কে টপকে ১৭ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে হিরো আইএসএল টেবলের এক নম্বরে উঠে এল হাবাস-বাহিনী। মুম্বই সিটি এফসি-র খাতায় ১৬ ম্যাচে ৩৪। শীর্ষস্থান ফিরে পেতে সোমবার বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে জিততেই হবে সাগরপাড়ের দলকে। ড্র করলেও পিছিয়ে পড়বে তারা।এই ব্যবধানে এগিয়ে থাকাটা উপভোগ করতে চান হাবাস। বলেন, “শীর্ষস্থানে দুই পয়েন্টে এগিয়ে থাকাটা ফুটবলার ও স্টাফদের পক্ষে বেশ ভাল। ছেলেদের পারফরম্যান্সে আমি খুবই খুশি। এখন আমাদের ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে হবে। পরের তিনটে ম্যাচেই তিন পয়েন্ট পেতে হবে আমাদের”।এই হারে স্বাভাবিক ভাবেই হতাশ জামশেদপুরের কোচ ওয়েন কোইল। তিনি বলেন, “কখনোই এটা সঠিক ফল নয়। ওদের গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য আজ মরশুমের সেরা সেভটা করেছে ভাল্সকিসের হেডে। ওই গোলটা পেলে আমরাই জিততাম। আমরা যথেষ্ট ভাল খেলছিলাম। এটিকে মোহনবাগান গোলটা করার আগে দ্বিতীয়ার্ধে একটাও শট গোলে রাখতে পারেনি। ওরা ভল দল, অনেক জয় পেয়েছে। কিন্তু ওদের বিরুদ্ধে আমরাই ম্যাচটা প্রায় জিতে নিয়েছিলাম। আমাদের পদেশনই বেশি ছিল। একটা বল ওদের পায়ে ছেড়ে দেওয়ায় গোলটা হয়ে গেল”।
