গ্যাংটক: ভারত-চীন সীমান্তে ফের উত্তেজনা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক বিবৃতির মাধ্যমে জানা গেছে, ২০ জানুয়ারি নর্থ সিকিমের নাকুলা এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় দু’দেশের সেনা। পরে প্রটোকল মেনে স্থানীয় কমান্ডাররা সেদিনই বিষয়টি সমাধান করেন। তবে এ বিষয়ে বিবৃতিতে বিস্তারিত আর কিছু বলা হয়নি।গত জুন মাসে পূর্ব লাদাখে ভারত-চীন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) বরাবর গালওয়ান অঞ্চলে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধে। তাতে ভারতের ২০ জন জওয়ান নিহত হন। চীনের তরফেও বহু হতাহত হলেও তারা তা স্বীকার করেনি। সেই থেকে সীমান্তে উত্তেজনা চলছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাউ লিজিয়ান বলেন, তাঁর এ বিষয়ে কিছু বলার নেই। তিনি বলেন, ‘আমি জোর দিয়ে বলছি যে সীমান্তে চীনা সেনারা শান্তিপূর্ণ অবস্থান মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সীমান্তে যাতে কোনো ধরনের অস্থিরতা তৈরি না হয়, সে জন্য আমরা ভারতের কাছেও একই ধরনের আচরণ প্রত্যাশা করছি। আমরা আশা করি উভয় পক্ষই সীমান্তে বিরোধ মেটাতে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে এবং শান্তি ও স্থিতিশিলতা বজায় রাখতে বাস্তব পদক্ষেপ নেবে।’
যদিও বিশেষ সূত্রে খবর অনুযায়ী, গত সপ্তাহের ওই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে ২০ জন আহত হয়। রবিবার দুই দেশের সেনা কমান্ডাররা বিরোধ মীমাংসার পথ বের করতে কয়েক ঘণ্টা বৈঠক করেন। চীনা বাহিনীকে জোর করে ফেরত পাঠানোর সময় ভারতীয় চার সেনা আহত হয়। সে সময় চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির কয়েকজন সদস্য আহত হন। যদিও চীনের পক্ষ থেকে খবরটিকে ভুয়ো বলে প্রচার করা হচ্ছে। গত জুন মাসে পূর্ব লাদাখে ভারত-চীন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) বরাবর গালওয়ান অঞ্চলে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধে। তাতে ভারতের ২০ জন জওয়ান নিহত হন। চীনের তরফেও বহু হতাহত হলেও তারা তা স্বীকার করেনি। সেই থেকে সীমান্তে উত্তেজনা চলছে।