in দেশ, বাংলা, , রাজনীতি,

নেতাজির পরিবারের আপত্তিতে রাজনৈতিক নেতাদের বাদ দিয়ে একাই ‘নেতাজি ভবনে’ নরেন্দ্র মোদি

নিজস্ব প্রতিনিধি: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মদিবসের অনুষ্ঠান উপলক্ষে কলকাতায় এসেই নেতাজি ভবনে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন সকালে হঠাৎই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে প্রধানমন্ত্রী নেতাজী ভবনে যাওয়ার কর্মসূচির কথা জানানো হয়।একইসঙ্গে জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন শুভেন্দু অধিকারী ও কৈলাশ বিজয়বর্গী। জানিয়ে আপত্তি তোলেন বসু পরিবারের সদস্যরা। এ প্রসঙ্গে নেতাজি পরিবারের সদস্য সুগত বসু জানিয়েছেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে বলেছিলাম, প্রধানমন্ত্রী যেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই আসেন। এখানে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সম্মানের প্রশ্ন জড়িত। সে কথাটা অন্তত নেতাজি ভবনের ভিতরে রেখেছেন। আমরা সে ব্যবস্থা বজায় রাখতে পেরেছিলাম।। মর্যাদার সঙ্গেই আমরা প্রধানমন্ত্রীকে নেতাজি ভবন ঘুরিয়ে দেখাতে পেরেছি। আমরা গেটের কাছে দাঁড়িয়েছিলাম। আমার ছোট ভাই সুমন্ত্র বসু, যে এখন নেতাজি রিসার্চ ব্যুরোর ডিরেক্টর আর আমি তাঁকে অভ্যর্থনা জানাই। আমরা দু’জনই তাঁকে নেতাজি ভবন ঘুরিয়ে দেখিয়েছি। সুমন্ত্রর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলাপ করিয়ে দিলাম। এসপিজি-র আপত্তিতে প্রধানমন্ত্রী ভিজিটর্স বুকে কিছু লেখার সুযোগ পাননি।’

তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘কোনও রাজনৈতিক নেতা ভিতরে ঢোকেননি। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে নেতাজির গাড়ি, শোবার ঘর, শরৎ বসুর ঘর, নেতাজির স্টাডি, গোটা মিউজিয়াম হেঁটে ঘুরিয়ে দেখিয়েছি। তবে সবকিছু তো আর ভালভাবে দেখা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী হরিপুরার কথা বলছিলেন। গুজরাতে যেখানে নেতাজি কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে ভাষণ দিয়েছিলেন। তাই বিশেষ করে হরিপুরার কিছু ছবি দেখিয়ে দিলাম। আর আজাদ হিন্দ বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে ছবি, আইএনএ টুপি, বেল্ট, বুট, জাপানিদের দেওয়া তলোয়ার, আরও অনেক ছবি দেখিয়েছি।’

সুগত বসু একই সঙ্গে জানান, আজ নেতাজির জন্মদিন। আজকের দিনে কোনও রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যে যেতে চাই না। ১৯৬১ সালে নেতাজি মিউজিয়াম হয়। সে বছরই জওহরলাল নেহরু এসেছিলেন। জওহরলাল নেহরু থেকে মনমোহন সিংহ, সব প্রধানমন্ত্রীকে আমরা দেখেছি। তাঁরা সবাই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এসেছেন। কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে আসেননি। প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদা, নেতাজির প্রতি সম্মান জানানোর জন্য আমরা ঠিক করেছিলাম, উনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই আসবেন, কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে না। আজ সকালে মুখ্যমন্ত্রী আসেন। উনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এসেছিলেন। দলের কাউকে আনেননি। নেতাজি যেহেতু দলীয় রাজনীতির অনেক ঊর্ধ্বে, তাই আমরা সেভাবেই ব্যবস্থা রেখেছিলাম। নেতাজির ১২৫-তম জন্মবার্ষিকীতে যেহেতু উনি এসেছেন, তাই ওঁর প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই আসা উচিত। সেভাবেই তাঁর সফর হয়েছে। রাজনৈতিক নেতা-কর্মী আসতেই পারেন। আমাদের অবারিত দ্বার। যে কেউ এসে নেতাজি সংগ্রহশালা দেখে যেতে পারেন। আজ আমাদের ধ্বনি দেওয়া উচিত, ‘নেতাজি জিন্দাবাদ’ এবং ‘জয় হিন্দ’। আদর্শের জন্য আমাদের দেশে নেতাজি ও গাঁধীজি, দু’জনকেই প্রয়োজন। ১৯৯৫ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেতাজির জন্মদিনে এসেছিলেন নরসিংহ রাও। নেতাজির আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা জরুরি। নেতাজিকে ‘দেশনায়ক’ হিসেবে সম্বোধন ধরেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আমার তাই ‘দেশনায়ক দিবস’-ই অনেক বেশি ভাল লেগেছে। ‘পরাক্রম’ আমার খুব একটা পছন্দ হয়নি।’

What do you think?

Written by News Editor

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে লড়ে হারল ইস্টবেঙ্গল