ফালাকাটা: পায়ে পা মিলিয়ে হাতে হাত ধরে নাচের আসরে যোগ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন ছবি ধরা পড়লো মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটায়। এদিন সেখানে আদিবাসীদের এক গণবিবাহের অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি আদিবাসী শিল্পীদের সঙ্গে আদিবাসী নৃত্যে যোগ দেন।৪ দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে গতকালই শিলিগুড়ি গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটায় রয়েছে তাঁর প্রশাসনিক বৈঠক। তার আগে এদিন বেলার দিকে তিনি যোগ দেন একটি আদিবাসী গণবিবাহের অনুষ্ঠানে। আলিপুরদুয়ার জেলার পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত এই গণবিবাহের অনুষ্ঠানে এদিন ৪৫০জন যুবক-যুবতীর বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই ২২৫জন নবদম্পতির হাতে এদিন রাজ্য সরকারের তরফে নানান উপহার তুলে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই আদিবাসী দম্পতিদের হাতে শাড়ি, ধুতি-পাঞ্জাবি তুলে দেন। এছাড়াও নবদম্পতিদের উপহার হিসাবে দেওয়া হচ্ছে বাসনপত্তর, সাইকেল ও সেলাই মেশিন।
এই গণবিবাহের অনুষ্ঠানেই আবার মুখ্যমন্ত্রী চা-সুন্দরী প্রকল্পের বাড়ি চা শ্রমিকদের হাতে তুলে দেন। এদিন আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং জেলার ১২টি চা বাগানের ৪৬০০ শ্রমিকের হাতে চা-সুন্দরী প্রকল্পে বাড়ি তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে এই অনুষ্ঠান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী আক্রমণ করেন বিজেপি তথা কেন্দ্রের সরকারকে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভোটের সময় চা বাগানের শ্রমিকদের কথা মনে পড়ল? এতদিন কোথায় ছিলে। আদিবাসীরা আমাদের অহংকার। আমরা যা বলি তা করি। কিন্তু ওরা শুধুই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়। উত্তরবঙ্গের এত সাংসদ, কিন্তু করেছেটা কী? কুৎসা আর অপপ্রচার ছাড়া আর কিছু কী করেছে? আমরা সব রাস্তা করে দিয়েছি, তারপর ওদের এখন মনে হচ্ছে রাস্তা করে দিতে হবে। কিন্তু কোথায় কী করবে, আমরা ত আগেই সব করে দিয়েছি। ওদের এই চালাকিতে ভুলবেন না। আমরাই ক্ষমতায় ফিরবো। আমরাই আপনাদের পাশে থাকবন। আমরাই আপনাদের জন্য কাজ করে যাব। বিজেপি ভোটের আগে এসে বলে বাগান খুলবে। ভোট মিটলেই পালিয়ে যায়। চা বাগান আর খোলে না। আগের বার ভোটের আগে বলেছিল ৭টা চা বাগান খুলবে। একটাও খুলেছে? ওরা কোনও কাজ করে না। শুধু কুৎসা আর অপপ্রচার করে বেড়ায়। ‘