অনিরুদ্ধ বসু:
বেশ কয়েকটি প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও এই দিনের কেন্দ্রীয় বাজেটকে অবশ্যই ভারসাম্যপূর্ণ বাজেট হিসাবে দেখা যেতে পারে। এই বাজেটে অবশ্যই বাজারও খুব ইতিবাচকভাবে সাড়া দিয়েছে। জনসাধারণের পক্ষেও এই বাজেটে বেশ কিছু ইতিবাচক দিক রয়েছে। এই ক্ষেত্রগুলো হলো ১) শুধুমাত্র পেনশন ও ব্যাংকের সুদের উপর নির্ভরশীল ৭৫ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের অতিরিক্ত ছাড়ের সাথে একটি স্থিতিশীল আয়কর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ২) আবাসন ক্ষেত্রে লোনের জন্য আয়কর ছাড়ের ব্যবস্থা নিঃসন্দেহে আবাসন শিল্পে ইতিবাচক প্রভাব নিয়ে আসবে। ৩) আবাসন নীতি ৪) আরবান ক্লিন ইন্ডিয়া নীতি। পরিকাঠামোতে জোর দেওয়ার পাশাপাশি বিমা শিল্পে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এছাড়াও আবাসন শিল্পে বিভিন্ন ছাড়ের সুবিধা দেওয়ায় খুশি বিনিয়োগকারীরা।
বাজারের যা প্রত্যাশা ছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি কিছু দেওয়া হয়েছে এই বাজেটে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চাঙ্গা করে তুলতে ২৬% ব্যয় বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বরাদ্দ অনেকটা বাড়ানো হয়েছে, যা ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিকে মাথা তুলে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।
সর্বোপরি স্বাস্থ্যপরিসেবা এবং অবকাঠামোতে নজর দেওয়ার ফলে জিডিপির উত্থাপনের সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে বাড়তে পারে মূল্যস্ফীতি।
দাম বাড়ল: জামাকাপড়, চামড়ার জিনিস, সোলার ইনভার্টার, কটন, সিল্ক, গাড়ির যন্ত্রাংশ, বিদেশি মোবাইল ফোন, মোবাইল ফোনের চার্জার।
দাম কমল: লৌহ-ইস্পাতের ওপর আমদানি শুল্ক, সোনা-রুপো-তামাজাত পণ্য।