ক্যালিফোর্নিয়া: রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষার পর নাসার মহাকাশযান পারসিভেরান্সের রোবট সফলভাবে মঙ্গল গ্রহের বুকে নামার পর সেখান থেকে ছবি পাঠাতে শুরু করেছে।গ্রহের বিষুব অঞ্চল, যার নাম জেযেরো, তার কাছে গভীর এক গহ্বরে এই রোবটকে নামানো হয়েছে।নভোযানটি মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করার মুহূর্তে উল্লাসে ফেটে পড়েন ক্যালিফোর্নিয়ায় নাসার মিশন কন্ট্রোলের প্রকৌশলীরা।ছয় চাকার এই রোবটযান আগামী দু’বছর মঙ্গল গ্রহ থেকে নমুনা সংগ্রহের কাজ করবে। প্রাচীন হ্রদ এলাকার মাটিপাথরের মধ্যে খনন চালিয়ে এটি অতীত অণুজীবের অস্তিত্ব সন্ধানের কাজ করবে।ধারণা করা হয়, জেযেরোয় কয়েকশো’কোটি বছর আগে বিশাল একটি হ্রদ ছিল। সেই হ্রদে ছিল প্রচুর জল, এবং খুব সম্ভবত সেখানে প্রাণের অস্তিত্বও ছিল।পারসিভেরান্সের রোবটযানটি প্রথম যে দুটি ছবি পৃথিবীতে পাঠিয়েছে, সে দুটি তোলা হয়েছে দুর্বল শক্তির প্রকৌশলী ক্যামেরা দিয়ে। ক্যামেরার লেন্সে ধুলার আস্তরণের মধ্যে দিয়ে পারসিভেরান্সের রোভার অর্থাৎ ওই রোবটযানের সামনে ও পেছনে সমতল ক্ষেত্র দেখা যাচ্ছে।নাসার বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, রোবটযানটি জেযেরোর ব-দ্বীপের মত চেহারার একটি অংশের দুই কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবতরণ করেছে। এই এলাকাতেই পারসিভেয়ারেন্স তার সন্ধান কাজ চালাবে।
in দেশ, বিজ্ঞান, ব্রেকিং নিউজ, শিরোনাম
সফল নাসার মঙ্গল অভিযান
- 2shares
অন্যদিকে গাইডেন্স,নেভিগেশন ও কন্ট্রোলস অপারেশন্স (জিএনঅ্যান্ডসি)-এর প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন আর এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত বেঙ্গালুরুর স্বাতী মোহন। এর আগে শনিতে পাঠানো নাসার মহাকাশযান ‘ক্যাসিনি’ এবং চাঁদে পাঠানো যান ‘গ্রেল’-এর অভিযানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন স্বাতী।
অন্যদিকে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই পেতে চলা অন্য দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মধ্যে আবার দুই বাঙালীও রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তিন দশক আগেই লাল গ্রহে হেলিকপ্টার ওড়ানোর স্বপ্নটা দেখতে শুরু করেছিলেন যে মুষ্টিমেয় কয়েক জন, তাঁদের অন্যতম মহিষাদলের বাঙালী বিজ্ঞানী অনুভব দত্ত। বর্তমানে তিনি মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যারোডায়নামিক্স ও অ্যারোইলেকট্রিসিটি বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত। অনুভবের জন্ম পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের ঘাঘরা গ্রামে। নাসার এমস রিসার্চ সেন্টারে এ বারের মঙ্গল অভিযানের হেলিকপ্টারের অ্যারোমেকানিক্স সম্পর্কিত যাবতীয় পরীক্ষানিরীক্ষার সঙ্গেও ওতপ্রোত ভাবে যুক্ত তিনি। অনুভব আবার আমেরিকান হেলিকপ্টার সোসাইটির একটি গুরুত্বপূর্ণ কমিটির প্রতিষ্ঠাতাও বটে। স্বাতী, অনুভবের পর এই তালিকায় রয়েছেন আরও এক বাঙালী মহাকাশ বিজ্ঞানী সৌম্য দত্ত। তার তৈরি অত্যাধুনিক দৈত্যকার প্যারাশুটে চেপেই মঙ্গলের বুকে নামে নাসার ‘মার্স ২০২০ রোভার’ পারসিভেরান্স আর ল্যান্ডার। যে প্যারাশুটে চেপে ৯ বছর আগে লাল গ্রহের বুকে পা রেখেছিল কিউরিওসিটি রোভার, সৌম্যর প্যারাশুটের কাছে সেটা কার্যত সেকেলে বলেই দেগে দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
- 2shares