in দেশ, , রাজনীতি,

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে বাধা অধীরের, বসে গেলেন মোদী

নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার সংসদে বেনজির সৌজন্যের ছবি দেখার পরদিনই উলটো ছবি দেখা গেল। রাষ্ট্রপতির ভাষণের জবাবি ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী কৃষি আইন নিয়ে বলা শুরু করতেই তাঁকে ‘বাধা’ দেওয়ার অভিযোগ উঠল লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। ফলে প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার চুপ করে যান। কিন্তু তারপরও থামেননি অধীর। শেষপর্যন্ত বসে যেতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী। কয়েক মুহূর্ত পরে ফের শুরু করেন। এবারে অধীরকে কটাক্ষ করে বলেন,’আপনার যা বলার ছিল, যা রেজিস্ট্রার করার ছিল, তা হয়ে গিয়েছে। এবার চুপ করুন। ‘ কিন্তু, অধীর তারপরও থামেননি।প্রধানমন্ত্রী বলার চেষ্টা করেন,’কংগ্রেস এই আইনের রং নিয়ে আলোচনা করেছে। ভালো হত যদি আইনের রং নিয়ে আলোচনা না করে বিক্ষোভের কারণ নিয়ে আলোচনা হত।’ মোদির এই বক্তব্যের পর ফের বিক্ষোভ দেখান লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা। এবার মেজাজ হারান প্রধানমন্ত্রী। কার্যত ধমকের সুরে বলে দেন, ‘এবার বেশি হচ্ছে অধীররঞ্জনজি। এবার বেশি হচ্ছে। সীমার বাইরে বেরবেন না। সীমার বাইরে কেন যাচ্ছেন। আমি তো আপনাকে সম্মান করি। এবার থামুন। যা বলেছেন এতেই বাংলাতে তৃণমূলের থেকে বেশি প্রচার পেয়ে যাবেন। আপনার যা বলার ছিল, বলে দিয়েছেন।’অধীরের প্রতি মোদির এই ধমকের সুর একেবারেই পছন্দ হয়নি কংগ্রেস সাংসদদের। এবারে তাঁরা আরও সুর চড়ান। রীতিমতো হইচই শুরু হয় লোকসভায়। আরও রেগে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে ওঠেন,’এই বাধা দেওয়ার চেষ্টা, এই হট্টগোল, সবটাই একটা সুপরিকল্পিত রণকৌশল। শেষে স্পিকার ওম বিড়লা হস্তক্ষেপ করেন।

What do you think?

Written by News Editor

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ড্রোন ম্যাপিং এর উদ্বোধনের রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকর

বামেদের নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার, শুক্রবার ১২ ঘণ্টার বনধ