কলকাতা: ব্রিগেড ছিল বামেদের। আজকের পর তা হয়ে যেতে পারে আব্বাসের। কেননা যে ব্রিগেডের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বাম নেতাদের মমতার বিরুদ্ধে বার বার গর্জে উঠতে দেখা গিয়েছে পরিবর্তনের আগে ও পরে, সেই ব্রিগেডের মঞ্চে দাঁড়িয়েই এদিন মমতাকে বাংলা থেকে উতখাতের ডাক দিলেন আব্বাস সিদ্দিকি। সেই আব্বাস যে কিনা সংখ্যালঘু সমাজের উদীয়মান নেতা। সেই সংখ্যালঘু সমাজ যা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাণভোমরা। এই সংখ্যালঘু সমাজই বার বার তৃণমূলকে দুইহাত ঢেলে ভোট দিয়ে এসেছে। আজ সেই সংখ্যালঘু সমাজের নেতাই যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উৎখাতের ডাক দিচ্ছে তখন কিন্তু রাজ্য রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব পড়তে বাধ্য। আব্বাস সিদ্দিকি এই প্রথম সরাসরি ভোট ময়দানে নামছেন। তার জন্য জোটও করেছেন বামেদের সঙ্গে ও কংগ্রেসের সঙ্গে। বামেদের সঙ্গে তাঁর দল আইএসএফের আসনরফা মসৃণ হলেও সেই মসৃণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না কংগ্রেসের সঙ্গে। কারন প্রদেশ কংগ্রেসের অনেক নেতাই আব্বাসের সঙ্গে জোটের বিরোধিরা করছেন। তাই এখনও কংগ্রেসের সঙ্গে আব্বাসের দলের জোট গড়ে উঠতে পারেনি। এই অবস্থাতেও এদিনের ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চে দাঁড়িয়ে আব্বাস বাংলা থেকে তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উৎখাতের ডাক দিলেন যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এদিন আব্বাস বলেন, ‘ব্রিগেডের জনসমুদ্রে আসা প্রতিটি মানুষ আজ ক্ষুধার্ত, লাঞ্ছিত, বঞ্চিত। বামেরা আমাদের দাবি মেনে নিয়েছে। আগামী দিন বিজেপি সরকার এবং তার বি-টিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে বাংলা থেকে উৎখাত করব। নারীদের অধিকার হরণ করেছেন মমতা। ২০২১-এ তাই আমরা মমতাকে শূন্য পাইয়ে দেখিয়ে দেব। বিজেপির কালো হাতকে ভেঙে দেশ থেকে উৎখাত করতে হবে। আসন সমঝোতা আরও ১ সপ্তাহ আগে হলে আরও লোক জড়ো করতে পারতাম। দিদিমণির হাতে আর ক্ষমতা নেই। এখন ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের হাতে। পিছিয়ে পড়া মানুষদের অধিকার বুঝে নিতে হবে, বন্ধুত্বের হাত মেলানো দরকার হলে তাদের হয়েও আব্বাস সিদ্দিকি লড়াই করবে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছে। আমরা ভারতীয়, আমরা গর্বিত, ভিক্ষা নয়, অধিকার চাই। এটা আজ আমাদের প্রথম ব্রিগেড। যেখানে যেখানে বামপন্থি প্রার্থী দেবে, সেখানেই ওদের জেতাব, মাতৃভূমিকে রক্ষা করব। পুরনো সব কথা ভুলে গিয়ে বামেদের জেতাব। ১ মাস পর আমরা বাংলা দখল করব।’
in বাংলা, ব্রেকিং নিউজ, রাজনীতি, শিরোনাম
তৃণমূলকে বাংলা থেকে উৎখাতের ডাক আব্বাসের
- 2shares
- 2shares