in বাংলা, , রাজনীতি,

ডানকুনিতে ‘রথযাত্রা’র সূচনায় মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

ডানকুনি: ‘বাংলার মেয়ে নন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ফুফু, আর রোহিঙ্গাদের খালা’। ডানকুনিতে ‘রথযাত্রা’র সূচনা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ভাষাতেই আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। দাবি করলেন, ‘প্রত্যেকটি থানার পুলিস, আইবি ও সিআইডি আধিকারিকরা বিরোধীদের ফোনে আড়ি পাতছে। এই প্রশাসনকে খোলনলচে পাল্টে ফেলতে হবে’।এদিন ডানকুনিতে বিজেপির যে ‘রথযাত্রা’ কর্মসূচির সূচনা করলেন শুভেন্দু অধিকারী, তার পাল্টা কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূলও। স্রেফ মোবাইল অ্যাপ নয়, ভোটের প্রচারের এবার ‘দিদির দূত’ হয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। বস্তুত,  শনিবারই ঘাটালে ‘দিদির দূত’ হয়ে হাজির হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘দিদির দূত হয়ে ঘুরছে তোলাবাজ ভাইপো। দুয়ারে সরকার নয়, দুয়ারে সিবিআই’। তৃণমূলের ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ থাকতে মমতাকে কেন বাংলার গর্ব হতে যাবেন’?অবশেষে বাংলায় নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেল। নজিরবিহীনভাবে এবার ভোট ৮ দফায়। একাধিক জেলা, এমনকী খাস কলকাতায় দুই দফায় ভোট হবে। নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগকে ‘সাধুবাদ’ জানালেন শুভেন্দু। বললেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গলরাজ চলছে। প্রশাসন-পুলিসকে নির্লজ্জভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তৃণমূল মানে এনামূল, এই মডেলকে ব্যবহার করা হচ্ছে। স্বচ্ছভাবে ভোট করানোর উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। তবে না আঁচালে বিশ্বাস নেই, সতর্ক থাকতে হবে’। কমিশনের কাছে শুভেন্দুর দাবি, ‘নবান্নে নির্বাচনী সেল খোলা হয়েছে। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে এই সেল চালানো যাবে না। ম্যাম-ম্যাম করা লোকেদের নবান্নে বসিয়ে ইলেকশন করা যাবে না। প্রত্যেকটি থানার পুলিস, আইবি ও সিআইডি আধিকারিকরা বিরোধীদের ফোনে আড়ি পাতছে। এই প্রশাসনের খোলনলচে পাল্টে ফেলতে হবে। না হলে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হবে না’।

What do you think?

Written by News Editor

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজেপিকে নিশানা করলেন তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত