in দেশ, , রাজনীতি,

উপযুক্ত সময়ে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পাবে জম্মু-কাশ্মীর দাবি অমিত শাহ’র

নয়াদিল্লি: শনিবার ২০২১ সালের জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধনী) বিল নিয়ে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী প্রশ্ন করেন, সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের পর কেন্দ্র যে যে প্রতিজ্ঞা করেছিল, সেগুলির কী হল। তার জবাবে শাহ বলেন, ‘বিরোধীরা প্রশ্ন করছেন যে ২০১৯ সাল থেকে আমরা জম্মু ও কাশ্মীরে কী করেছি! সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের পর ১৭ মাস কেটে গিয়েছে এবং সেটার উত্তর চাইছেন। আপনারা ৭০ বছরে কী করেছেন, তা কখনও বিচার করে দেখেছেন? যদি আপনারা ঠিকভাবে কাজ করতেন এবং তাহলে আমাদের প্রশ্ন করতে হত না।’ একইসঙ্গে শাহ জানান, কাজের খতিয়ান তুলে ধরতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, ‘যাঁরা প্রজন্মের পর প্রজন্মের ধরে শাসনের সুযোগ পেয়েছেন, তাঁদের নিজেদের খতিয়ে দেখা উচিত যে আদৌও তাঁরা সেই উত্তর চাইতে পারার যোগ্য কিনা।’তারইমধ্যে শাহ জানান, জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধনী) বিল নিয়ে আসার সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীর পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু সংসদের নিম্নকক্ষের একাধিক সদস্য বলছেন যে এই বিল আনলে নাকি জম্মু ও কাশ্মীর আর পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে না। শাহ বলেন, ‘আমি বিলের দায়িত্বে আছি। আমি বিলটা এনেছি। আমি নিজের উদ্দেশ্যে পুরোপুরি স্পষ্ট করে দিয়েছি। বিলে কোথাও লেখা নেই যে জম্মু ও কাশ্মীর আবার পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা পাবে না। আপনারা কোথা থেকে সেই সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাচ্ছেন?’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘রাজ্য হিসেবে জম্মু ও কাশ্মীরের মর্যাদার সঙ্গে এই বিলের কোনও সম্পর্ক নেই। উপযুক্ত সময় জম্মু ও কাশ্মীরকে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হবে।’ তবে কবে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পাবে জম্মু ও কাশ্মীর? তা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও সময়সীমা দিলেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুধু জানালেন, উপযুক্ত সময় নিশ্চিতভাবে জম্মু ও কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

২০১৯ সালের ৫ অগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করেছিল কেন্দ্র। তার ফলে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা রদ হয়ে যায়। সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। শাহের দাবি, তারপর থেকে দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হয়েছে। বিরোধীদের আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের বিষয়ে রাজনীতি করবেন না। যদি আপনারা রাজনৈতিক লড়াই চান, তাহলে রিংয়ে আসুন এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন। এটা আমাদের দেশের সংবেদনশীল এলাকা। তাঁদের উপর আঘাত হানা হয়েছে। তাঁরা দোনামোনায় থাকেন। সংসদের কাজ হল, তাঁদের সান্ত্বনা দেওয়া, তাঁদের জখম খুঁচিয়ে দেওয়া নয়।’

What do you think?

Written by News Editor

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রাহুলকে তোপ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলার