in বাংলা, ব্রেকিং নিউজ, রাজনীতি, শিরোনাম

দক্ষিণ কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের তারুণ্যের মুখ বাপ্পাদিত্য

বিশেষ প্রতিবেদন: বাংলার বুকে ভোট যুদ্ধের দামামা কার্যত বেজে গেছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে শাসক এবং বিরোধী দুই পক্ষেরই লক্ষ্য বাংলার মসনদ দখল করা। আর এই ভোটে যে বাংলার যুব সমাজ বিশেষ ভূমিকা নিতে চলেছে তা স্পষ্ট। তৃণমূল কংগ্রেসের লক্ষ্য বাংলার শাসন ক্ষমতা নিজেদের হাতে ধরে রাখা। তাই সাংগঠনিক দিক থেকেও তারা যুবসমাজকে নিজেদের দিকে ধরে রাখতে কার্যত মরিয়া। সে কারণেই সংগঠনে তারুণ্যের প্রাধান্য দেখা যাচ্ছে জোড়া ফুল শিবিরে। আর দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূল কংগ্রেস যুবসমাজের মুখ হিসেবে তুলে আনা হচ্ছে ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের পুরোপিতা, বর্তমানে ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর তথা নাকতলা উদয়ন সংঘের পূজো অন্যতম কাণ্ডারী বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত কে। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ড কে ২০১৫ সালে পৌরপিতা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে যেভাবে আধুনিক করে তুলেছেন বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত, তাতে বিশ্বের যে কোনো আকর্ষণীয় স্থানের সঙ্গে সহজেই টেক্কা দিতে পারে কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ড।ওয়ার্ড কে সাজানোই নয়, তারপরে তার নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা থেকে শুরু করে বাংলার ঐতিহ্যকে নিজের ওয়ার্ডের প্রতিটা কোনায় কোনায় তুলে ধরেছেন তিনি। একই সঙ্গে যেকোনো পরিস্থিতিতে ওয়ার্ডের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাপ্পাদিত্য। বিশেষ করে আম্ফান ও কোভিড এই দুটি বিপর্যয়ের মাঝে অঞ্চলের মানুষের পাশে শুধু দাঁড়াননি, একই সঙ্গে সমস্ত রকম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে কার্যত নিজেকে জননেতায় পরিণত করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তার অত্যাধুনিক ভাবনা চিন্তা এবং তার সঠিক রূপায়নে দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের যুব সমাজ তার অনুগামী হয়ে উঠেছে। ফলস্বরূপ যে অঞ্চলে তিনি যাচ্ছেন সেখানেই এক ঝাঁক তরুণ তরুণী তার কাছে উপস্থিত হচ্ছেন। তাদেরকে শুধু রাজনৈতিক পাঠ নয়, একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও কর্মসংস্থানের পথ নিয়ে কি ভাবছে তা নিয়ে আলোচনায় মেতে উঠছেন বাপ্পাদিত্য। কিভাবে এই তরুণ প্রজন্মকে আরো ভালো উন্নত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নেওয়া যায়, সেই নিয়ে তার ভাবনাও তুলে ধরছেন‌। ফলস্বরুপ খুব সহজেই কাছের মানুষ হয়ে উঠছেন তিনি।

সংগঠক হিসেব উদয়ন সংঘের পুজোকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা থেকে রাজনৈতিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে নিয়মিত অত্যাধুনিক প্রচার কৌশলের মাধ্যমেও যুবসমাজকে আকৃষ্ট করছেন তিনি। বিশেষ করে বিভিন্ন ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মকে সুকৌশলে ব্যবহার করে নিজের কর্মকাণ্ড তথা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারের জন্য ব্যবহার করছেন বাপ্পাদিত্য। একইসঙ্গে ভোট কৌশলী হিসেবেও তরুণদের মধ্যে একটা অন্যরকম বার্তা পৌঁছে দিতে পেরেছেন তিনি। যেখানে বারংবার তুলে ধরেছেন উন্নয়নের বিষয় ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গুলি। যা বর্তমান যুবসমাজ যথেষ্ট ভালো ভাবে গ্রহণ করছে। তথাকথিত রাজনৈতিক কূটকাচালির বাইরে থেকে উন্নয়নকে প্রচারের হাতিয়ার করার বিষয়টি যথেষ্ট আকৃষ্ট করেছে তাদের। তাই সামগ্রিকভাবে এমন একজন মুখকে কাজে লাগাতেই মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে তার হাতে‌। আর তারপর থেকেই সমগ্র দক্ষিণ কলকাতা জুড়ে চষে বেরিয়েছেন বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত।সমস্ত অঞ্চলগুলিতে গিয়ে একদিকে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করা, অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের উন্নয়নের কার্যাবলী তুলে ধরাধরার কাজ তো করেছেনই, এই সঙ্গে সুকৌশলে ব্যবহার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি।

একদিকে সংগঠক, একদিকে রাজনীতিবিদ আর অন্যদিকে যুব সমাজের কাছের মানুষ হিসাবেই ধীরে ধীরে দক্ষিণ কলকাতার তরুণ সমাজকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি আকৃষ্ট করার গুরুদায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে চলেছেন বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত।

What do you think?

Written by News Editor

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Loading…

0

বিজেপির ‘মুখ্যমন্ত্রী মুখ’সৌরভ নন শুভেন্দুই

‘জয় বাংলা,ভারতমাতা জিন্দাবাদ’ নন্দীগ্রাম দিবসে স্লোগান শুভেন্দুর