দিঘা–শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদের পর এবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানো হল শিশির অধিকারীকে। যদিও এ নিয়ে কিছু বলতে নারাজ শিশির অধিকারীর মেজো ছেলে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।বাবা শিশির অধিকারীকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘আমার পরিবার আছে। আমার বাবা–মা সুস্থ থাকুক এটাই চাইব। আমি কী রাজনীতি করব আমার বাবা–মা বলে না। আমার বাবা–মা কী রাজনীতি করবে তা আমি বলি না। এটা তৃণমূল পার্টির ব্যাপার। আমি তো তৃণমূল কংগ্রেস প্রাইভেট লিমিটেড করি না। আমি ওই প্রাইভেট লিমিটেডের সম্পর্কে বলব না। ওরা কর্মচারী খোঁজে, কর্মচারী খুঁজে নেবে। যাঁরা কর্মচারী হিসেবে থাকতে চায় না তাঁরা বেরিয়ে আসবে।’যদিও এদিন অখিল গিরি অভিযোগ করে বলেন, ‘শিশির অধিকারী জেলা সভাপতি হিসেবে তাঁর কাজ ঠিকমতো করছিলেন না। তাতে সাংগঠনিকভাবে জেলায় তৃণমূল দুর্বল হয়ে পড়ছিল। রাজনৈতিকভাবে আমাদের দল সৌমেন মহাপাত্রকে যোগ্য হিসেবে মনে করেছে। তাঁকে দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দলের সকলে তাঁকে নিশ্চিতভাবে সাহায্য করবে।’ দিঘা–শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের বর্তমান চেয়ারম্যান অখিল গিরির আরও বলেন, ‘অধিকারী পরিবারকে দেখে কেউ দল করেনি। দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে করেছে। তাই অধিকারী পরিবারের দু–চারজন সদস্য চলে যেতে পারে। কয়েকটা ভোট কমে যেতে পারে। কিন্তু দলের কোনও ক্ষতি হবে না।’
কলকাতা থেকে চোখের চিকিৎসার পর নিজের বাসভবনে ফিরে নিজস্ব ভঙ্গিমাতেই রয়েছেন শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী। তিনি বলেন, ”২০০৬ সাল থেকে আমি কংগ্রেসের জেলা সভাপতি ছিলাম। এরপরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলাম। এখন ২০২১। এতদিন তো আমিই টেনে নিয়ে এলাম। একটা সময় সিপিএম আমার উপর বোমা ছুঁড়েছে। আমি বলের মত লুফে নিয়েছি। আমি সেই লোক। আবার সিপিএমের ছোঁড়া বোমা লুফতে গিয়ে হাত ঝলসে গিয়েছে”। শিশির অধিকারীকে জেলা সভাপতির পদ থেকে অপসারণ করা হলেও, এখনও তাঁকে জেলা কমিটির চেয়ারম্যান করে রাখা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ”তৃণমূল যা অপমান করছে। তাতে এদের কাছে ফিরে যাওয়ার আর ইচ্ছা নেই। কাঁথি শহরে মাইক বাজিয়ে আমার পরিবারের আদ্যশ্রাদ্ধ করা হচ্ছে। এরকম হবে কোনও দিন ভাবিনি”।