হাওড়া: দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাঠানো বিশেষ চাটার্ড বিমানে দিল্লি উড়ে যান রাজীব, বৈশালী, প্রবীর, রুদ্রনীল, রথীনরা। সেখানে গিয়েই অমিত শাহের সঙ্গে আলোচনা করে বিজেপিতে যোগ দেন রাজীব ও বাকিরা। রবিবার হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে বিজেপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেই নিজের প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিলেন রাজীব।
রাজ্য সরকারের একাধিক কর্মসূচি ও প্রকল্পকে কটাক্ষ করেন রাজীব । রাজ্যে শিল্প থেকে বেকারত্ব সবকিছু বিষয়েই বর্তমান সরকারকে কটাক্ষ করেছেন রাজীব। এদিন তিনি জানিয়েছেন, আজ শিল্প সব শ্মশানে পরিণত হয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে শিল্প আনব। আজ কাজ না পেয়েই রাজ্যের বাইরে যেতে হচ্ছে। অমিত শাহ যে লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছেন, তাতে আমরা পৌঁছব। বাংলার মানুষের আজ অনেক হতাশা। কাজ নিশ্চয়ই কিছু হয়েছে, কিন্তু অনেক বাকি। আজ বেকার যুবক-যুবতীদের সরকার দিশা দিতে পারেনি। আগেও মানুষের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেছি। দরকার হলে পাড়ায় পাড়ায়, বুথে বুথে যাব। একটা সময় স্লোগান ছিল, বদলা নয় বদল চাই। বার বার দেখেছি বিরোধীদের ওপর হামলা হয়েছে। ওদের শেষের শুরু হয়ে গ্যাছে। যা উন্মাদনা দেখছি, তাতে রাজ্যে পদ্ম ফুটবেই। বিজেপিতে যতদিন থাকব, কর্মীদের অসম্মান করব না। যখন তৃণমূলে কেউ যোগ দেয়, তখন বলা হয় উন্নয়নের স্বার্থে। আর কেউ তৃণমূল ছাড়লে বিশ্বাসঘাতক বলা হয়। যত অপশব্দ ব্যবহার করবেন, তত মানুষের আশীর্বাদ পাব।
রাজীবকে নিজের দলে পেয়েই উচ্ছ্বসিত শুভেন্দু জানান, তৃণমূল এখন প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হয়ে গেছে। তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনও লোক থাকবে না। কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাকে তৃণমূলশূন্য করব। গত ১৯ ডিসেম্বর যে যোগদানের মেলা শুরু হয়েছিল আজ হাওড়ায় রাজীব যোগ দেওয়ায় সেটার একটা দিক পূর্ণ হল।
হাওড়ার ডুমুরজলায় কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি জুবিন ইরানি, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূল ছেড়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগদান করেন রাজীব ব্যানার্জী, রুদ্রনীল ঘোষ, বাণী সিংহ রায়, রথীন চক্রবর্তী, প্রবীর ঘোষাল, বৈশালী ডালমিয়ারা।